• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ভৈরব পৌরসভায় আধুনিক সবজি, মাছ, মাংস শেড এবং গণশৌচাগার উদ্বোধন করলেন পৌর প্রশাসক ফিসারি দখল ও হামলার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ছেলেদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে পুরনো রাজনীতি করতে দিব না ……… হাসনাত কাইয়ুম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন পাকুন্দিয়ার রাসেল ভৈরবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে তাঁতীদলের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী ভৈরবে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক, থানায় সোপর্দ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের ভৈরব দিয়ে যান চলাচল বন্ধ, চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা ভৈরবে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশে নানা ভাবে আমাদের সমাজ, রাজনীতি দূষিত হয়েছে এই ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য থেরাপি দরকার ………. অধ্যাপক ড.হারুন রশীদ

র‌্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু সুরতহাল কেউ জানাচ্ছেন না

র‌্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু
সুরতহাল কেউ জানাচ্ছেন না

# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
ভৈরবে র‌্যাবের হাতে আটক অবস্থায় শুক্রবার সকালে পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বরুণাকান্দি গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম (৫২)। শুক্রবার সকালে সুরাইয়াকে অসুস্থ অবস্থায় র‌্যাব ক্যাম্প থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক বলছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার আগেই রোগির মৃত্যু হয়েছে।
জেলা কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ভৈরব থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে সুরতহালে মৃত্যুর কোন লক্ষণ বোঝা গেছে কি না, প্রশ্ন করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা যাবে না। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে সেটা জানা যাবে। ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলামও একই কথা বলেছেন। একই কথা বলেছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মোজাহারুল ইসলামও। তবে র‌্যাব বলছে, গরমে স্ট্রোক করে সুরাইয়ার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ভৈরব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সুরাইয়ার মৃত্যুর বিষয়ে ভৈরব থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা (নং ১৮) রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ১৮ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মর্গেই গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে গেছেন ভাসুর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিবেশি আল আমিন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত সুরাইয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও একই এলাকার রেখা বেগম গাজীপুরের একটি বিস্কুট কারখানায় কাজের সুবাদে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিত হচ্ছিলেন রেখা। গত ২৬ এপ্রিল অন্তঃসত্ত্বা রেখাকে অসুস্থ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেদিনই রেখার শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে জনতা আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় রেখার মা রামিসা খাতুন রেখার স্বামী তাজুল ইসলাম, তাজুলের বাবা আজিজুল ইসলাম ও মা সুরাইয়াকে আসামি করে ২ মে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেছিলেন। ট্রাইবুনালের নির্দেশে নান্দাইল থানা গত ১৩ মে মামলাটি রেকর্ড করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে তাজুল ইসলাম ও নান্দাইল থেকে তার মা সুরাইয়াকে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে র‌্যাব ক্যাম্প থেকে সুরাইয়াকে অসুস্থ অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মদ এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, সুরাইয়াকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভৈরব থানার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ডা. বুলবুল আহম্মদ জানিয়েছেন। ভৈরব ক্যাম্পের র‌্যাব কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে র‌্যাবের ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। বিষয়টি আইনী পথে যাবে। লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে র‌্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে শুক্রবার ভোরে সুরাইয়া বেগম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এর পরই তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছিল।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাধারণভাবে পুলিশই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। যেহেতু র‌্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুরাইয়া বেগম মারা গেছেন, সেই কারণে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করানো হয়েছে।
১৮ মে শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গেলে ভৈরব থানার এসআই আজহারুল হক জানান, তিনি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে লাশটি শুক্রবার রাতে মর্গে নিয়ে এসেছেন। এসময় মর্গের সামনে বেশ কিছু র‌্যাব সদস্যকেও সাদা পোশাকে দেখা গেছে। মর্গের সামনে কথা হয় নিহতের চাচাত ভাসুর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিবেশি আল আমিনের সাথে। সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের স্বামী আসেননি। তাঁরা গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন লাশটি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এর বেশি কথা বলা সম্ভব হয়নি। র‌্যাব সদস্যরা সাইফুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে তাদের কাছে বসিয়ে রাখেন।
এক পর্যায়ে মর্গের ডোম শাহাবুদ্দিন হাসপাতালের সামনের গ্রামের আফিয়া খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে ডেকে আনেন লাশের গোসল করানো এবং কাফনের কাপড় পরানোর জন্য। আফিয়া খাতুন মর্গে আসা নারীদের ৩০ বছর ধরে গোসল দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। নিহতের স্বজনরা একটি পারিশ্রমিক দিয়ে থাকেন। গোসলের পর বেলা ১২টার দিকে লাশটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়ে যায়। এসময় সামনে চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন নিহতের ভাসুর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিবেশি আল আমিন।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বেলা আড়াইটার দিকে ফোন করলে তিনি ওই মহিলার জানাজায় গেছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও কখনও রিসিভ করেননি, কখনও সংযোগ কেটে দেন।
সুরাইয়া কিভাবে র‌্যাবের হেফাজতে গেলেন, এ নিয়ে দুই পক্ষের দুরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনরা বলছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার এসআই নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার বিকালে সুরাইয়া বেগম ও তার স্বামী আজিজুল ইসলামকে থানায় ডেকেছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের বিদায় করে দেওয়ার পর থানার সামনে থেকে র‌্যাব সদস্যরা সুরাইয়াকে আটক করে নিয়ে যান। তবে র‌্যাব বলছে, মামলাটির ছায়া তদন্ত করতে গিয়েই সুরাইয়া ও তার ছেলে তাজুলকে আটক করা হয়েছে। র‌্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু
সুরতহাল কেউ জানাচ্ছেন না
# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
ভৈরবে র‌্যাবের হাতে আটক অবস্থায় শুক্রবার সকালে পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বরুণাকান্দি গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম (৫২)। শুক্রবার সকালে সুরাইয়াকে অসুস্থ অবস্থায় র‌্যাব ক্যাম্প থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক বলছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার আগেই রোগির মৃত্যু হয়েছে।
জেলা কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ভৈরব থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে সুরতহালে মৃত্যুর কোন লক্ষণ বোঝা গেছে কি না, প্রশ্ন করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা যাবে না। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে সেটা জানা যাবে। ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলামও একই কথা বলেছেন। একই কথা বলেছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মোজাহারুল ইসলামও। তবে র‌্যাব বলছে, গরমে স্ট্রোক করে সুরাইয়ার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ভৈরব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সুরাইয়ার মৃত্যুর বিষয়ে ভৈরব থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা (নং ১৮) রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ১৮ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মর্গেই গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে গেছেন ভাসুর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিবেশি আল আমিন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত সুরাইয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও একই এলাকার রেখা বেগম গাজীপুরের একটি বিস্কুট কারখানায় কাজের সুবাদে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিত হচ্ছিলেন রেখা। গত ২৬ এপ্রিল অন্তঃসত্ত্বা রেখাকে অসুস্থ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেদিনই রেখার শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে জনতা আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় রেখার মা রামিসা খাতুন রেখার স্বামী তাজুল ইসলাম, তাজুলের বাবা আজিজুল ইসলাম ও মা সুরাইয়াকে আসামি করে ২ মে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেছিলেন। ট্রাইবুনালের নির্দেশে নান্দাইল থানা গত ১৩ মে মামলাটি রেকর্ড করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে তাজুল ইসলাম ও নান্দাইল থেকে তার মা সুরাইয়াকে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে র‌্যাব ক্যাম্প থেকে সুরাইয়াকে অসুস্থ অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মদ এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, সুরাইয়াকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভৈরব থানার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ডা. বুলবুল আহম্মদ জানিয়েছেন। ভৈরব ক্যাম্পের র‌্যাব কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে র‌্যাবের ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। বিষয়টি আইনী পথে যাবে। লাশের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে র‌্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে শুক্রবার ভোরে সুরাইয়া বেগম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এর পরই তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছিল।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাধারণভাবে পুলিশই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। যেহেতু র‌্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুরাইয়া বেগম মারা গেছেন, সেই কারণে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করানো হয়েছে।
১৮ মে শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গেলে ভৈরব থানার এসআই আজহারুল হক জানান, তিনি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে লাশটি শুক্রবার রাতে মর্গে নিয়ে এসেছেন। এসময় মর্গের সামনে বেশ কিছু র‌্যাব সদস্যকেও সাদা পোশাকে দেখা গেছে। মর্গের সামনে কথা হয় নিহতের চাচাত ভাসুর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিবেশি আল আমিনের সাথে। সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের স্বামী আসেননি। তাঁরা গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন লাশটি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এর বেশি কথা বলা সম্ভব হয়নি। র‌্যাব সদস্যরা সাইফুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে তাদের কাছে বসিয়ে রাখেন।
এক পর্যায়ে মর্গের ডোম শাহাবুদ্দিন হাসপাতালের সামনের গ্রামের আফিয়া খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে ডেকে আনেন লাশের গোসল করানো এবং কাফনের কাপড় পরানোর জন্য। আফিয়া খাতুন মর্গে আসা নারীদের ৩০ বছর ধরে গোসল দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। নিহতের স্বজনরা একটি পারিশ্রমিক দিয়ে থাকেন। গোসলের পর বেলা ১২টার দিকে লাশটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়ে যায়। এসময় সামনে চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন নিহতের ভাসুর সাইফুল ইসলাম ও প্রতিবেশি আল আমিন।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বেলা আড়াইটার দিকে ফোন করলে তিনি ওই মহিলার জানাজায় গেছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও কখনও রিসিভ করেননি, কখনও সংযোগ কেটে দেন।
সুরাইয়া কিভাবে র‌্যাবের হেফাজতে গেলেন, এ নিয়ে দুই পক্ষের দুরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনরা বলছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার এসআই নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার বিকালে সুরাইয়া বেগম ও তার স্বামী আজিজুল ইসলামকে থানায় ডেকেছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের বিদায় করে দেওয়ার পর থানার সামনে থেকে র‌্যাব সদস্যরা সুরাইয়াকে আটক করে নিয়ে যান। তবে র‌্যাব বলছে, মামলাটির ছায়া তদন্ত করতে গিয়েই সুরাইয়া ও তার ছেলে তাজুলকে আটক করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *