# রাজীবুল হাসান :-
একটি পক্ষ দেশের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা চাই দেশের নাগরিক তাদের ভোটের অধিকার ফিরে প্রয়োগ করুক। কিন্তু
মানুষ ভোট দিতে চাই, ভোটের মাধ্যমে যদি গণতান্ত্রিক সরকার না আসে তাহলে আবার স্বৈরাচার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ভৈরব ভেনিস বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে ভৈরব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা, নবাগত শিক্ষক ও গুণী শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। তখন দিনের ভোট রাতেই হয়ে যেতো। সেজন্যই আমরা দীর্ঘ বছর জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছি। আমরা কাউকে সংসদে পাঠানো বা মন্ত্রী বানানোর জন্য আন্দোলন করিনি। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে তুলে দেওয়া ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই আন্দোলন করেছি। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতা ও সকল রাজনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছি। তাই আমরা প্রত্যকেই যে পেশাই থাকি না কেন নির্বাচনে আমরা আমাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে থাকি। সেজন্যই আপনারা যোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বের গুণের অধিকারী ব্যক্তিকেই আপনার মহামূল্যবান ভোট দিবেন। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ভৈরব-কুলিয়ারচরের জনগণের সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম। সবসময় সাধ্যমত অসহায়গ্রস্ত জনগণের সহযোগিতা করেছি। তাই আপনাদের কাছে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভোট আমাকে প্রদান করে ভৈরব-কুলিয়ারচরের উন্নয়নমূলক কাজ ও জনগণের সেবা করার সুযোগ দিবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভৈরব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সরকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি মো. মুজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ভৈরব উপজেলায় কর্মরত নব-যোগদানকৃত নবীন ও গুণী প্রাথমিক শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় তাদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গল্পবলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।