# মিলাদ হোসেন অপু :-
ভৈরবে এক গৃহবধূ (৩৫)’কে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা গৃহবধূর স্বামী আব্বাছ মিয়া (৬০)। ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ২টায় উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী মানিক মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া (৩৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া অন্য দুই আসামি হলো, প্রতিবেশী শওকত মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া (২৬), জাহির উল্লাহ’র ছেলে শাহ আলম (৩০)।
মামলার এজাহার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর পরিবার ও অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। ঘটনার দিন গৃহবধূর স্বামী ব্যাবসায়িক কাজে ঢাকায় ছিল। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকার বিষয়টি অভিযুক্তরা জেনে গেলে রাত দুইটায় প্রথমে মোশাররফ পরে শাহ আলম ও আনোয়ার সঙ্গবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে যায়। ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে জ্ঞান ফিরতেই ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীকে বিষয়টি অবহিত করে। এদিকে ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে গৃহবধূর স্বামী ঢাকা থেকে ভৈরব থানায় এসে এ বিষয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করলেও অপর দুইজন আসামি পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী আব্বাছ মিয়া বলেন, অভিযুক্তদের সাথে আমার পূর্ব শত্রুতা ছিল। বৃহস্পতিবার একটি কাজে ঢাকায় ছিলাম। ভুক্তভোগী আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। ওইদিন দিবাগত রাত ২টায় বাড়িতে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী একা ছিল। সুযোগ পেয়ে আসামিরা আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। আমি বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। এ ঘটনায় আসামিদের কঠোর বিচার দাবি করছি।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, আমরা ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ৪ জানুয়ারি শনিবার কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে (মামলা নং-৬)। মামলাটি গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আটক আনোয়াকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।