করোনা সংক্রমণের মহাদুর্যোগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ। গত ১০ দিন ধরে সংক্রমণের মাত্রা এতটাই ব্যাপকতা পাচ্ছে, একদিন পর পর সংখ্যাটা শতক ডিঙিয়ে যাচ্ছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত ২৩ জুন জেলায় করোনায় চিকিৎসাধীন ছিল ৪১৫ জন। দু’দিনের মাথায় ২৫ জুন সেই সংখ্যাটা উঠে গেল ৫৪০ জনে। এরপর দু’দিনের মাথায় ২৭ জুন হয়ে গেল ৬০৪ জন। আবার দু’দিনের মাথায় ২৯ জুন সংখ্যাটা দাঁড়ালো ৭০৮ জনে। পুনরায় দু’দিনের মাথায় ১ জুলাই এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮২২ জনে। এবারও দু’দিনের মাথায় ৩ জুলাই এই সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকেছে ৯৫৭ জনে। আর ৩ জুলাই শনিবার রাত পর্যন্ত জেলায় মোট ৯১ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর জানা গেছে। যদিও কিশোরগঞ্জের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল শহীদ সৈযদ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাপাসাতালের করোনা চিকিৎসায় ইতোমধ্যে বেশ সুনাম অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এই হাসপাতালে ক্রমেই রোগীর চাপ বাড়ছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের শনিবার রাতের করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সৈয়দ নজরুল হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ বেডেই এখন রোগী রয়েছে। মোট রোগী আছে ১০৩ জন। আগের দিন শুক্রবার রাত পর্যন্ত আইসিইউ বেডে রোগী ছিল ৯ জন, আর মোট রোগী ছিল ৯৫ জন।
করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি দেশব্যাপী দুই সপ্তাহের শাটডাউনের প্রস্তাব করার পর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কাজে নিয়োজিত থাকা হাজার হাজার নারী-পুরুষ কিশোরগঞ্জে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসেছে। এর পর থেকেই যেন সংক্রমণের মাত্রা নতুন গতি পেয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত, র্যাব, পুলিশ আর আনসারের পাশাপাশি এবার সেনা সদস্য ও বিজিবি সদস্যদের টহলের ফলে লকডাউন মোটামুটি ভালভাবেই পালিত হচ্ছে। তবে এর সুফল এখনই বোঝা যাচ্ছে না। কয়েকদিন গেলে হয়ত এর একটা সুফল আসবে বলে অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন।