• বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
বাংলাদেশে নানা ভাবে আমাদের সমাজ, রাজনীতি দূষিত হয়েছে এই ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য থেরাপি দরকার ………. অধ্যাপক ড.হারুন রশীদ বাজিতপুর প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব খলিলুর রহমান আগামী নির্বাচনে দাড়িপাল্লার পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি হবে ……. চাকসু জিএস কিশোরগঞ্জে কৃষি বিভাগে কলম বিরতি কর্মসূচী অসহায় নারীর চায়ের দোকান জোরপূর্বক বন্ধ ও লুটপাটের অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ভৈরব উদয়ন স্কুল আমলাপাড়া শাখায় হেমন্ত উৎসব আয়োজন ভৈরব উদয়ন স্কুল নিউটাউন শাখার স্টুডেন্টস্ প্রেজেন্টেশন-ডে আয়োজন ছিনতাইকারীকে অনুরোধ করে মোবাইল ফেরত নিলেন সাংবাদিক, টাকা খোয়ালেন ১৫ হাজার করিমগঞ্জে বিএনপি নেতার বউকে নিয়ে পালালেন যুবক ভৈরবে বিভিন্ন যানবাহনে জেলা বাস্তবায়ন চাই পতাকা সংযুক্ত কর্মসূচি

টিকটকে আসক্ত কিশোরীকে মোবাইল টিপতে মা বাধা দেয়ায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা

# মিলাদ হোসেন অপু :-
ভৈরবে টিকটকে আসক্ত কিশোরীকে মোবাইল টিপতে মা বাধা দেয়ায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ১৫ মার্চ শনিবার বিকালে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই দিন রাত ১১টায় মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। নিহত কিশোরী ওই এলাকার মেরাজ মিয়ার মেয়ে মিনা বেগম (১৭)। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।
স্থানীয়রা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কিশোরী মিনা দীর্ঘদিন যাবত মোবাইলে টিকটকে আসক্ত। পরিবারে চার বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। ১৫ মার্চ রোজা রেখেছিল। এমনকি কোরআন শরীফ পড়তো। দুপুরে মায়ের সাথে ঘরের কাজকর্ম নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গোসল করে। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নিজ করে ধর্ণার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মিনার দাদু নামাজ পড়তে ঘরে গিয়ে দেখে সে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা ফাঁসি থেকে নামিয়ে মাথায় পানি দেয়। সাথে সাথে বাড়ির পাশে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে সেখানে ফার্মাসিস্ট জানায় সে মৃত্যুবরণ করেছে।
এ বিষয়ে নিহতের বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, আমার বোন অনেক দিন আগে থেকেই টিকটকে আসক্ত ছিল। আমি বাধা দিলে টিকটক চালানো বন্ধ করে দিয়েছিলো। আবারো সে মোবাইলে আসক্ত হয়ে যায়। দুপুরে মা মোবাইল রেখে ঘরের কাজকর্ম করতে বলে। এসময় মায়ের সাথে মিনার ঝগড়া হয়। আমার চাচাতো ভাই সাদ্দাম তাকে শাসন করে। পরে সে গোসল করে বাড়ির উঠোনে হাঁটাহাঁটি করে। বিকালে ঘরে ঢুকে ধর্ণার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আমার বোন সারাদিন রোজা রেখেছিল। সকালে কোরআন শরীফ পড়েছে। আমরা ভেবেছিলাম সে বিকালে আসরের নামাজ পড়তে ঘরে ঢুকেছিল। পরে আমার দাদু নামাজ পড়তে গিয়ে দেখে মিনা ফাঁসিতে ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা মেরাজ মিয়া বলেন, আমার মেয়ে টিকটকে বেশি আসক্তির কারণে এর আগেও মোবাইল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। মাস খানেক আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। পরে তাকে আবারো মোবাইল দেয়। ১৫ মার্চ দুপুরে সে মোবাইল চালাচ্ছিল। তার মা রাজিয়া বেগম তাকে মোবাইল টিপতে বাধা দেয়ায় ও ঘরের কাজকর্মের কথা বলায় মায়ের সাথে ঝগড়া করে। পরে বিকালে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, আজ ১৬ মার্চ রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *