# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
শিবিরের প্যানেল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (চাকসু) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাঈদ বিন হাবিব বলেছেন, ‘চাকসুতে ছাত্র সমাজ আমাদেরকে বিজয়ী করেছে। আমাদের জন্য মা-বোনরা রোজা রেখেছিলেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর দাড়িপাল্লার পক্ষেও জোয়ার সৃষ্টি হবে। দাড়িপাল্লার পক্ষে জনগণকে ম্যান্ডেট দেওয়ার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।’ তিনি বক্তৃতায় একাত্তরের সকল শহীদসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘কিশোরগঞ্জবাসী’ ব্যানারে তাঁকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাঈদ বিন হাবিব এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াত আমির ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক রমজান আলী, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী অধ্যাপক মোসাদ্দেক ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রী হলের নির্বাচিত ভিপি সাবরিনা মারজান, চাকসুর সদস্য মুশফিকুর রহমান ও জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। সাঈদ বিন হাবিবের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের সগড়া এলাকায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাবিবের শ্বশুর ক্বারী আব্দুস সালাম।
সাঈদ বিন হাবিব আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান কেমন হবে, সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। এ সিদ্ধান্তের জন্য গণভোট দরকার। কিন্তু একটি শক্তির গণভোটের প্রতি অনিহা। তারা আবার ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে চায়। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। গত ১৬ বছর কেবল দুর্নীতি হয়নি, ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল। এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐকমত্য কমিশন যে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, গণভোটের মাধ্যমে তা জনগণের সামনে আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমার জুলাই আন্দোলনের ভাইদের জবাই করে হত্যা করেছে, কুপিয়ে হত্যা করেছে, আহত করেছে। দুই হাজার শাহাদাত বরণ করেছে। অথচ এই ইন্টেরিম সরকার এখনও সন্ত্রাসীদের বিচার করতে পারেনি। পরাজিত শক্তি আবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু আমাদের জুলাইয়ের শক্তি এখনও মাঠে আছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ। শেষে সাঈদ বিন হাবিব জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া তাঁকে নিয়ে শহরে একটি শোভাযাত্রাও করা হয়।
জেলা জামায়াতের আমির রমজান আলী বলেছেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র শিবিরের যে ভূমিধ্বস বিজয় হয়েছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনেও এরকম ভূমিধ্বস বিজয় আসবে বলে আশা করি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। ফলে আগামী সরকার হবে জামায়াতে ইসলামীর সরকার।