• বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
বাংলাদেশে নানা ভাবে আমাদের সমাজ, রাজনীতি দূষিত হয়েছে এই ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য থেরাপি দরকার ………. অধ্যাপক ড.হারুন রশীদ বাজিতপুর প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব খলিলুর রহমান আগামী নির্বাচনে দাড়িপাল্লার পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি হবে ……. চাকসু জিএস কিশোরগঞ্জে কৃষি বিভাগে কলম বিরতি কর্মসূচী অসহায় নারীর চায়ের দোকান জোরপূর্বক বন্ধ ও লুটপাটের অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ভৈরব উদয়ন স্কুল আমলাপাড়া শাখায় হেমন্ত উৎসব আয়োজন ভৈরব উদয়ন স্কুল নিউটাউন শাখার স্টুডেন্টস্ প্রেজেন্টেশন-ডে আয়োজন ছিনতাইকারীকে অনুরোধ করে মোবাইল ফেরত নিলেন সাংবাদিক, টাকা খোয়ালেন ১৫ হাজার করিমগঞ্জে বিএনপি নেতার বউকে নিয়ে পালালেন যুবক ভৈরবে বিভিন্ন যানবাহনে জেলা বাস্তবায়ন চাই পতাকা সংযুক্ত কর্মসূচি

অসহায় নারীর চায়ের দোকান জোরপূর্বক বন্ধ ও লুটপাটের অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে

# এম.আর রুবেল :-
চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন কল্পনা বেগম নামে এক অসহায় নারী। সেই চায়ের দোকানই ছিল তাঁর সংসারের একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেই দোকানটিও ১০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি খলিলুর রহমানের ছেলে মঈন আহমেদ ও তার সহযোগীরা। হাজী ফুল মিয়া সিএনজি স্টেশনের অংশীদার অভিযুক্ত খলিলুর রহমানের নির্দেশেই চায়ের দোকানটি বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বন্ধ দোকানটির তালা ভেঙে মালামাল লুট নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী নারী ভৈরব থানা গিয়ে পুলিশকে অবগত করলে এসআই শাহাদাৎ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনাটি ঘটে ভৈরব শহরের কমলপুর গোধুলী সিটি এলাকার হাজী ফুল মিয়া সিএনজি স্টেশনের পাশে।
জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা কল্পনা বেগম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভৈরব কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের খালি জায়গায় ছোট একটি চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারের ভরনপোষণ চালাতেন তিনি। ওই জায়গাটিতে নজর পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী খলিলুর রহমান ও তার ছেলে মঈনের। ওই সরকারি জায়গা থেকে আমাকে তুলে দিয়ে গাড়ি ধোয়ার গ্যারেজ করার জন্য খলিলুর রহমানের নির্দেশে তাঁর ছেলে মঈন আহমেদ ও সহযোগীরা ৭/৮ লোক এসে জোরপূর্বক দোকানটি বন্ধ করে দেই।
ভুক্তভোগী কল্পনা বেগম আরও বলেন, মঈন আহমেদ ০১৭৮৩৫০০২২২ নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি সিএনজি স্টেশনের অন্য অংশীদার হাজী ফুল মিয়াকে অবগত করলে তিনি বলেন, এই জায়গা সরকারের। উচ্ছেদ করলে সরকার করবে। পাবলিক তো কেউ দোকান বন্ধ করতে পারবে না। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির ভয়ে দোকানটি আর খুলতে পারছেন না বলে জানান ভুক্তভোগী নারী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুনরায় এসে মঈন ও তাঁর সহযোগীরা দোকানের মালামাল নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে মালামাল গুলো ফেরতের ব্যবস্থা করেন।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জের (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চায়ের দোকানদার কল্পনা বেগম।
এ বিষয়ে মঈন আহমেদের বন্ধু তপু জানান, তাঁর ব্যবহৃত নাম্বার থেকে কল্পনা বেগমকে ফোন দেয় মঈন। হুমকির বিষয়টি তিনি অবগত নন বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মঈন আহমেদ বলেন, সরকার থেকে সওজের জায়গা লিজ নিয়েছেন। ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদের জন্য আগে বলা হয়েছে। দোকান সরিয়ে না নেয়ায় বন্ধ করতে বলেছি। দোকানের কোন মালামাল লুটপাট হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁর ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন জানান, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়। পরে দোকানের মালামাল গুলো ফেরতের ব্যবস্থা করি। এছাড়াও দোকান খুলে দিয়ে এসেছি কল্পনা বেগম যেন স্বাভাবিকভাবে দোকানদারি করতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *