• বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ভৈরব পৌরসভায় আধুনিক সবজি, মাছ, মাংস শেড এবং গণশৌচাগার উদ্বোধন করলেন পৌর প্রশাসক ফিসারি দখল ও হামলার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ছেলেদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে পুরনো রাজনীতি করতে দিব না ……… হাসনাত কাইয়ুম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন পাকুন্দিয়ার রাসেল ভৈরবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে তাঁতীদলের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী ভৈরবে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক, থানায় সোপর্দ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের ভৈরব দিয়ে যান চলাচল বন্ধ, চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা ভৈরবে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশে নানা ভাবে আমাদের সমাজ, রাজনীতি দূষিত হয়েছে এই ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য থেরাপি দরকার ………. অধ্যাপক ড.হারুন রশীদ

বাঁচতে চায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ফারজানা

# ‎উজ্জ্বল কুমার সরকার :-
‎সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র কৃষক মানিক মিয়া, পরের জমিতে কামলা খেঁটে কোনোমতে চালান সংসার, নুন আনতে পানতা ফুরায়,স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত যেন নিত্য সঙ্গী। থাকেন আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে। তার তিন মেয়ে আর ৪ বছরের একটি ছেলে, ছোট মেয়েটি জটিল রোগে আক্রান্ত, টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা।
‎‎বলছি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চরকাটিহারী গ্রামের ফারজানার কথা। এইতো কদিন আগে বিয়ে হলো, গ্রামবাসীদের সহযোগিতায়। কিন্তু হঠাৎ টকবগে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন খবর নিচ্ছেন না। তার বাবাও চিকিৎসা করাতে পারছেন না, যেখানে পরনে ভালো কাপর, দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে পারেন না পরিবারের মুখে, কিভাবে করাবেন মেয়ের চিকিৎসা!
‎‎সরেজমিনে জানা যায়, মানিক মিয়ার মেজো মেয়ে সোনিয়া সেও স্বামী পরিত্যাক্তা। মানিক মিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পে থেকে কাজ করেন পরের জমিতে, ‎এতে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে পরিবারের ৫ সদস্যের মুখে তুলে দিতে পারেন না ঠিকমত অন্ন।‎
‎আশ্রয়ন প্রকল্পের অন্য এক বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, ডাক্তার বলছে ফারজানাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে কিন্তু সেই সামর্থ্য তার বাবা নেই, যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি পাশে দাঁড়ান তাহলে হয়তো বেঁচে থাকা সম্ভব।
‎স্থানীয় রুকুন উদ্দিন জানান, প্রথমে ফারজানাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, হাসপাতালের ডাক্তার তানভির হাসান জিকো মেয়েটির করুণ অবস্থা ও তার বাবার অসহায়ত্ব দেখে ভর্তি হবার পরামর্শ দেন এবং নিজ খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।
রোগীর অবস্থা জটিল দেখে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে নিতে বলেন।‎
‎জানা যায়, এলাকাবাসীর সহায়তায় ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে ১৮ দিন থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এলাকাবাসীর দেওয়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা সেই আগের মতই।
‎‎ফারজানার বাবা মানিকের আকুল আবেদন হৃদরবান মানুষের কাছে যেন মেয়েটিকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *