কিশোরগঞ্জে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার সদর উপজেলার ৬০ জন ভিক্ষুককে গরু, ছাগল, ভ্যানগাড়ি, সেলাই মেশিন ও নগদ টাকা অনুদান দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগের কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ। এ উপলক্ষে উপজেলা কমপ্লেক্সের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গত নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র বিমোচনের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছিলেন। ইশতেহারে দারিদ্র শতকরা ১২ ভাগে, আর অতি দারিদ্র ৫ ভাগে নেমে আসবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং ডেল্টা প্ল্যানের মত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি যেসব ভিক্ষুককে অনুদান বা উপকরণ দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, সেগুলির উত্তম ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখভাল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মো. সরওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেছেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য জেলায় এক কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। জেলায় ৩৮৪ জন ভিক্ষুককে চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে পুনর্বাসন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্ত করে পুনর্বাসন করা হবে।বিভাগীয় কমিশনার চারা রোপন ও ডিজিটাল সেবা বোর্ড উদ্বোধন করছেন। -পূর্বকণ্ঠ
বিভাগীয় কমিশনার সদর উপজেলার ডিজিটাল সেবা বোর্ড উদ্বোধন করেন এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি অর্জুন গাছের চারাও রোপন করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদির মিয়া, উপজেলার দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার ও মাসুমা আক্তার, পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আব্দুল্লাহ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল, চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি এবি সিদ্দিক খোকা প্রমুখ।