কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার মধ্যে কিছুদিন আগেও ৯ উপজেলা ছিল করোনাশূন্য। এখন ৯ উপজেলায় করোনা রোগি। চার উপজেলা রয়েছে এখন করোনাশূন্য। সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, চার উপজেলাও ক’দিন করোনাশূন্য থাকবে, এটা নিয়েই সংশয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সারা জেলায় চিকিৎসাধীন রোগি ছিল মাত্র ৭ জন। আর আজ ২১ মার্চ রোববার চিকিৎসাধীন ৯৩ জন। এদের মধ্যে আজ আক্রান্ত হয়েছে নতুন ৯ জন। ফলে রোগির সংখ্যা দ্রুত শতকের দিকে এগুচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, আজ সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৯০টি নমুনা পরীক্ষায় নতনু শনাক্ত ৯ জনের মধ্যে ভৈরবে ৫ জন, সদরে ২ জন, আর করিমগঞ্জ ও কটিয়াদীতে একজন করে রোগি শনাক্ত হয়েছে। নেগেটিভ হয়েছে ৮১টি নমুনা। আর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা ৪৬টি নমুনাই নেগেটিভ হয়েছে। আজ সুস্থ হয়েছেন ভৈরবে ৩ জন আর কুলিয়ারচরে ২ জন। আজ জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ভৈরবে ৪৬ জন, সদরে ১৭ জন, কটিয়াদীতে ৯ জন, কুলিয়ারচরে ৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, বাজিতপুরে ৪ জন, অষ্টগ্রামে ৩ জন, তাড়াইলে ৩ জন এবং করিমগঞ্জে ২ জন চিকিৎসাধীন আছেন। আর হোসেনপুর, নিকলী, ইটনা ও মিঠামইন এখন করোনাশূন্য আছে। আজ পর্যন্ত জেলায় টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৯৭ হাজার ৬৪৯ জন, আর টিকা গ্রহণ করেছেন ৫৮ হাজার ১৭১ জন।