• বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন |
  • English Version

রাস্তায় রাবিশ ফেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত

 # মিলাদ হোসেন অপু :-
ভৈরবে রাস্তায় রাবিশ ফেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর বেচু ব্যাপরি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর ওই এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ৮ মার্চ সকালে বাড়ির পাশে রাস্তার গর্তে রাবিশ ফেলছিল হানিফ মিয়া। হঠাৎ করেই রাবিশ ফেলার কাজে বাধা দেন তারই চাচাতো ভাই জামাল মিয়া। তিনি ওই এলাকার ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক। বাধা দেয়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় বিষয়টি তখনই মিটমাট হয়। এ ঘটনার জেরে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে জামাল মিয়া, কাসেম মিয়া, তারেক মিয়া, আমান মিয়া ও হাকিমুলসহ ১৫ জন হানিফ মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। এসময় হানিফ মিয়ার বাতিজা জাহাঙ্গীরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারিয়া নাজমুন প্রভা বলেন, ভাবানীপুর গ্রামের একটি ঝগড়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামে একজনকে হাসাপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দিতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বুকে ছুরির আঘাত রয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের চাচা হারুণ মিয়া জানান, আজ সকালে রাস্তায় রাবিশ ফেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের একই বংশের হানিফ মিয়া ও জামাল মিয়ার মধ্যে বাকবিতাণ্ডা হয়। হানিফ তার বাড়িতে নতুন ঘর তুলে। রাস্তায় পানি জমে থাকে বলে এতে রাবিশ ফেলে হানিফ মিয়া। এতে বাঁধা দেয় জামাল মিয়া। সকালেই বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। পরে বিকালে জামাল মিয়ারা দল পাকিয়ে এসে জাহাঙ্গীরকে ছুরিকাঘাত করে। আমিসহ স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথি মধ্যে সে মৃত্যু বরণ করে। জাহাঙ্গীর বাদাম বিক্রেতা। তার সংসারে দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে হানিফ মিয়া বলেন, বাড়ি সামনে রাস্তায় রাবিশ ফেল ছিলাম। জামাল মিয়া আমার কাজে বাধা দেয়। আমাকে গালমন্দও করে। এঘটনা জেনে আমার বাতিজা জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়। এ খবর জামাল মিয়ারা জেনে যায়। বিকালে তারা দল বেঁধে এসে আমাকে কিছু করেনি। আমার বাতিজাকে ছুরিকাঘাত করে মেরে ফেলেছে তারা। জামান, আমান, কাসেম, তারেকসহ গুন্ডাপান্ডারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামাল মিয়া বলেন, রাস্তায় রাবিশ ফেলাতে আমি কিছু বলিনি। রাস্তায় বৃষ্টি হলেই কাঁদা জমে থাকে। আমি হানিফ মিয়াকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে বলে ছিলাম। এ ঘটনায় আমাকে হানিফ মিয়ার পক্ষ হয়ে জাহাঙ্গীর গালাগাল করে। বিষয়টি আমার বাতিজা কাসেমসহ অন্যান্যরা জেনে যায়। পরে আবার দ্বন্দ্ব বাধে। জাহাঙ্গীর আমার বাতিজা কাসেমকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে চেষ্টা করলে ফিরিয়ে দেয় কাসেম। দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরের হাতের ছুরির আঘাতেই সে নিহত হয়।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *