• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন |
  • English Version

আমি একাই একশ, আমার সরলতা, আমার দুর্বলতা ভাবা ঠিক না …… নাজমুল হাসান এমপি

# মিলাদ হোসেন অপু :-

সারাদেশ ব্যাপী বিএনপি’র সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ভৈরব উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক বিশাল গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কমলপুর বাসস্ট্যান্ড নিউটাউন মোড় এলাকায় এ গণজমায়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় সংসদের সহধর্মিনী ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল্স এর পরিচালক রোকসানা হাসান।
এ সময় প্রধান অতিথি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন তার বক্তব্যে বলেন, আমি একাই একশ, আমার সরলতা, আমার দুর্বলতা ভাবা ঠিক না। যদি কোন রকম ষড়যন্ত্র হয় তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমি ভৈরবের কোন মানুষের ক্ষতি করিনি। হোক সে যে কোন দলের। ভৈরবের মানুষ শান্তিতে রয়েছে। বিএনপি এমন একটি দল তাদের কাজই সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্য ও মিথ্যাচার করা। বিএনপি দোসর পাকিস্তানিদের এ দেশের মানুষ নিরস্ত্র হয়েও ৭১ এ পরাজিত করে এদেশ থেকে বিতারিত করেছিল। আজ বিএনপি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করে পরাজিত হয়ে ২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছেন। সে দিন জননেত্রীর সাথে আমার আব্বাসহ বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি’র এ বর্বোরোচিত হামলা করে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমার আব্বা (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমান)সহ স্ট্যাজে থাকা নেতৃবৃন্দ বেঁচে যায়। ভাগ্য খারাপ থাকায় সেদিন আমার আম্মা (শহীদ বেগম আইভি রহমান) গ্রেনেড হামলায় আহত হয়। সেদিন আমার আম্মা আহত হয়ে তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। আম্মার সাথে অনেকেই সেদিনের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন ও অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেন। আজ আবার বিএনপি মাথাচারা দিয়েছে। সারাদেশে মিথ্যাচার করছে। বিদেশী চক্রান্তের সাথে হাত মিলিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। জনগণের সেবায় এ দল কাজ করে যাচ্ছে। কারো ক্ষতি আওয়ামী লীগ করে না। শেখ হাসিনার জন্য ভৈরবের মানুষের সাথে আমি যে কোন প্রয়োজনে যে কোন মুহুর্তে রাজপথে রয়েছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ভৈরবের মানুষের ৯৫ ভাগ দাবী শেষ। দেড় বছর করোনা থাকায় ভৈরবের কোন উন্নয়ন কাজ বেশী এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি। তারপরও ভৈরবে শহর রক্ষাবাঁধ একটি করা হয়েছিল। তা এখন বড় করে সেই বাঁধ আবার নির্মাণ করা হবে। মানিকদী-কুলিয়ারচর জিল্লুর রহমান সেতু, ট্রমা সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, হাজী আসমত কলেজ সরকারিকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। আগামী ১ বছরের ভিতরে ভৈরবে কোন রাস্তাঘাট ভাঙ্গা থাকবে না। ব্রীজ, কালভার্ট, ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করা হবে অচিরেই। ওই সকল কাজ শেষ করার পর নতুন করে কাজ করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌর শহরের প্রতিটি ইউনিয়নে আমি উপস্থিত হয়ে কার কি প্রয়োজন সে দাবী পুরণ করবো। রাজপথে নেমেছি আপনারা আগামী ৩ মাসের মধ্যে আমাকে নিয়মিত ভৈরবে পাবেন। আপনার তালিকা তৈরি করুণ সব দাবী আমি পুরণ করবো। বিএনপি’র মিথ্যাচারে বিশ্বাস না করে আওয়ামী লীগের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদাত্ত্ব আহ্বান জানান।
গণজমায়েতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. ইফতেখার হোসেন বেনু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা সোলায়মান, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান এর একান্ত সচিব লুৎফর রহমান ফুলু ও শাখাওয়াত উল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি জাকির হোসেন কাজল, অহিদ মিয়া, তালাওয়াত হোসেন বাবলা, রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাত উল্লাহ, আবু বক্কর সিদ্দিক।
এছাড়াও উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম অলি, যুগ্ম আহ্বায়ক অরুণ আল আজাদ, ইকবাল হোসেন, আরমান উল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি শামীম আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক রাকীব রায়হান, পৌর যুবলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সৈকত, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমির হামজা, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী রিয়াদ, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সালেহ রহমান মিকদাত, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক আসমা আহমেদ, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লাভলী আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুলতানা প্রমুখ।
গণজমায়েতে উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণে সভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এ সময় ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকা মানুষের কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বিভিন্ন সাজ সজ্জায় নেতাকর্মীরা সভাস্থলে উপস্থিত হয়। ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে যানবাহন চলাচল অব্যাহত রাখে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *