• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা চেম্বারের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেন যাত্রী ও পথচারীদের খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ চলমান তাপপ্রবাহে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি স্টুডিওর আড়ালে ছিল ইয়াবা ব্যবসা, মাদকসহ কারবারি আটক ভৈরব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের পূর্ণসমর্থন হোসেনপুরে শ্রেষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষক নাজমুল হক করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ১৭ জনের মনোনয়ন দাখিল হোসেনপুরে ৩টি বৈদ্যুতিক টান্সমিটার চুরি নিকলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়বেন জনি (মোটরসাইকেল) ও মোকাররম (আনারস) প্রতীকে ভৈরবে মানবতার কল্যাণে সংগঠনের পক্ষ থেকে খাবার পানি ও শরবত বিতরণ

কিশোরগঞ্জের হাওরে বন্যা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম -পূর্বকণ্ঠ

কিশোরগঞ্জের হাওরে বন্যা
পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

# মোস্তফা কামাল :-

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মেঘালয় এলাকার পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওরের বেশ কিছু বোরো জমি তলিয়ে গেছে। ঢলের পানি ঢকুছে কিশোরগঞ্জের ইটনা এবং মিঠামইনের হাওরেও। বেশ কিছু জমির আধাপাকা ধান কৃষকরা কেটেও ফেলছেন। হাওরাঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেশ কিছু ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করলেও অনেক বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এবং নিকলীর কৃষকদের মনে। এই চারটি উপজেলায় প্রায় ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়ে থাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম গতকাল সোমবার (৪ এপ্রিল) ইটনা ও মিঠামইনের বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নূরুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল আলম, ইটনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার, মিঠামইনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন। জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকলকে ফসল রক্ষা বাঁধগুলো রক্ষায় কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি এলাকার জনগণকেও বাঁধগুলো রক্ষায় শ্রম দেয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
হাওরের বেশি নীচু জমিগুলোতে আগাম জাতের ব্রিধান-২৮ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। আগাম বন্যায় এসব ধানই প্রথমে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। ধান কাটা শুরু করতে আরও সপ্তহখানেক বাকি। কিন্তু ফসল হারানোর ভয়ে অনেকে আধাপাকা ধানই কেটে ফেলছেন। অধিকাংশ হাওর এখনও নিরাপদে রয়েছে বলে কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে ইটনার ধনপুর, এলংজুরি এবং বাদলা ইউনিয়নের বেশ কিছু জমিতে পানি উঠে গেছে বলে এসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন। ২০১৬-১৭ বোরো মৌসুমেও পাহাড়ি ঢলের কারণে আগাম বন্যায় বৃহত্তর সিলেট, কিশোরগঞ্জ এবং নেত্রকোনার সমস্ত হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ ধংস হয়ে গিয়েছিল। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও হাওরবাসীকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *