ভৈরবে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২৯ নভেম্বর রোববার পৌর শহর ও উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আকবরনগর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএসটিআই কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামসহ ভৈরব থানা পুলিশের সদস্যরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নির্দেশনায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভৈরব পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সরণি এলাকায় পিউর হ্যাভেন ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরীর মালিক হিমেল মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা, বেবী বেকারীর মালিক শাহাদাত হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা, আইস কোং বেকারীর মালিক নূরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা, কমলপুর এলাকার বন্ধন বেকারীর মালিক মজনু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা, আকবরনগর মায়ের দোয়া বেকারীর মালিক মো. আবু ছালেককে ৩০ হাজার টাকা, আব্দুস সামাদকে ১০ হাজার জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএসটিআই এর অফিসারের সহযোগিতায় ভৈরবসহ পৌর শহরের ও উপজেলার আকবরনগর বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের অনুমোদন ছাড়া বেকারী, ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরি পরিচালনা করায় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। করোনা মহামারিতে মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেকটা অবনতির দিকে যাচ্ছে। সেদিকে আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভেজাল খাদ্যও শারীরিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি করছে। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় খাদ্য গ্রহণেও মানুষকে সচেতন হতে হবে। ভেজাল খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এ সময় তিনি করোনা মহামারির মোকাবেলায় নিয়মিত মাস্ক পরতে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।