কিশোরগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলা ও বিদেশ প্রত্যাগতদের পর্যবেক্ষণে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ১১ সদস্যের জেলা কমিটি ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার ১৩ উপজেলার সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিককে করোনা রোগী বা করোনা সংক্রমিত দেশ থেকে প্রত্যাগতদের জন্য কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ২০টি ও আইসোলেশনের জন্য ২০টি বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ১০ মার্চ মঙ্গলবার এগুলি পরিদর্শন করেছেন। এসময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল হকও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, দু’টি পৃথক ওয়ার্ডে পুরুষ রোগীদের জন্য ৫টি ও মহিলা রোগীদের জন্য ৫টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিনসহ কয়েকজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদেরকে গ্লাভস এবং মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রি প্রস্তুত করতে দেখা গেছে। এছাড়া ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দু’টি করে পৃথক বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ প্রতিটি প্রাইভেট ক্লিনিককেও প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ‘র্যাপিড রেসপনস টিম’ (ত্বরিৎ ক্রিয়াশীল দল) প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করা হবে বলেও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। অবশ্য কিশোরগঞ্জে এখন পর্যন্ত কোন করোনা ভাইরাসের রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে জনসাধারণের মাঝে এ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।