# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও দৃশ্যও ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। ভিডিও দেখে প্রশাসন কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছে। রোববার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোলা মিয়া নামে এক ব্যক্তি আব্দুল কাদিরকে জমি খারিজের জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিচ্ছেন। আব্দুল কাদির বলছেন, ৬ হাজারের কথা ছিল। ভোলা মিয়া বলছেন, গরিব মানুষ কাজটা করে দেন। বাকি এক হাজার টাকা পরে পেয়ে যাবেন। ভিডিওতে আব্দুল কাদিরকে টাকা গুণে নিতে দেখা গেছে। দুলাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, তার কাছ থেকে ২৪ শতাংশ জায়গা খারিজ করতে ২৩ হাজার টাকা চেয়েছেন।
মাইজখাপন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘ভূমি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনগণ আমার কাছে অনেক অভিযোগ করেছেন। টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। তাও মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। ধনী-গরিব কোন বাছবিচার নেই। আমি কয়েকদিন তাদের নিজে বলেছি, যেন হয়রানি না করেন। কিন্তু কোন কাজই হচ্ছে না।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে প্রশ্ন করলে জানান, তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলামকে দিয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ করিয়েছেন। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মীর আব্দুল হাতিমের বিরুদ্ধেও চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন জানালে জেলা প্রশাসক বলেন, তিনিও এমন অভিযোগ শুনেছেন। তবে এ ধরনের অন্যায় হতে দেয়া হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য আব্দুল কাদিরকে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তিনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মীর আব্দুল হাতিমকেও চিঠি দিয়েছেন, আব্দুল কাদিরের বিরেুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করে রোববার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হাতিম ও আব্দুল কাদিরকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা সাড়া দেননি।