কিশোরগঞ্জের বাজারে প্যাকেটজাত তরল দুধ নেই ঈদের আগে থেকে। বিশেষ করে শহরের জীবনে সরাসরি স্থানীয় গাভীর দুধ এতটা সহজলভ্য নয়। ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা নিয়ে আসলেও এগুলিতে পানি মেশানো থাকে বলে ভোক্তাদের অনেকেই আড়ং এবং প্রাণ কোম্পানীর মত বিভিন্ন কোম্পানীর প্যাকেটজাত তরল দুধই মুদির দোকান বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ৮০ টাকা লিটার দামে কিনে থাকেন। এসব দুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ‘আল্ট্রা হাই টেম্পারেচার’ (ইউ.এইচ.টি) দুধ। এসব দুধের প্যাকেটে মেয়াদ লেখা থাকে ৬ মাস। প্যাকেটগুলো দোকানে দিনের পর দিন ফ্রিজের বাইরেই রাখা হয়। ক্রেতারা কিনে নিয়ে প্যাকেটের আংশিক দুধ বের করে বাকিটা ফ্রিজে রাখেন। যদিও অধিকাংশ ভোক্তার মনেই উচ্চ মাত্রার প্রিজার্ভেটিভের আশংকাও কাজ করে। এর পরও ঈদের অন্তত তিনদিন আগে থেকেই বাজারে এসব দুধ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ঈদ উপলক্ষে সবসময়ই এসব দুধের চাহিদা বেশি থাকে, সরবরাহও বেশি থাকে।
তবে আজ ৯ মে সোমবার থেকে বিভিন্ন দোকানে আড়ংয়ের প্যাকেটজাত গরুর দুধ পাওয়া যাচ্ছে। এর গায়ে উৎপাদন তারিখ লেখা রয়েছে ৮ মে। আর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা রয়েছে ১৪ মে। ৭০ টাকা লিটারের এসব দুধ দোকান থেকে নিয়েই ডীপ ফ্রিজে রাখতে হয়। প্যাকেটের গায়ে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণের নির্দেশনা লেখা রয়েছে। দোকানিরা জানালেন, ৬ মাস মেয়াদী প্যাকেটজাত দুধগুলো বাজারে আসতে আরও অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে।