• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন |
  • English Version

কিশোরগঞ্জে ৪৮৬ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের আশ্রয়ণের ঘর পেল

অলকা রাণী সরকারের হাতে ঘরের দলিল তুলে দেয়া হচ্ছে। (ইনসেটে) ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী -পূর্বকণ্ঠ

কিশোরগঞ্জে ৪৮৬ পরিবার
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের
আশ্রয়ণের ঘর পেল

# নিজস্ব প্রতিবেদক :-

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে কিশোরগঞ্জের ৪৮৬টি পরিবার আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সারাদেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ৪৮৬টি পরিবার ঘর পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের প্রথমেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে পিতা-মাতাসহ পরিবারের সদস্যদের হারানোর বর্ননা দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার ছিল, বাংলার কোন মানুষ আশ্রয়হীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই দেশের প্রতিটি ভূমিহীন ও ঘরহীন পরিবারকে সরকারী উদ্যোগে দুই শতাংশ জায়গার ওপর আধাপাকা দুই কক্ষের ঘর তৈরি করে দলিলমূলে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। অনেকেই নিজের ঘরে বসে ভাল আয়রোজগার করছেন। এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও ঘর দেয়া হচ্ছে। দেশের ৪৯২টি উপজেলায় আশ্রয়ণের ঘর বিতরণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তারাও সমাজের অংশ। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ ও বরগুণা জেলার ৪টি উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসক ও দু’জন করে উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীসহ সবার চোখেই পানি চলে আসে।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সদর উপজেলার ৩২টি পরিবারের মাঝে ৩২টি ঘর দলিলপত্রসহ হস্তান্তর করেছেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) মো. নূরে আলম, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মামুল আল মাসুদ খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক বাদল রহমান, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার ও মাছুমা আক্তার, মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, যশোদল ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন প্রমুখ।
সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের কাশোরারচর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী অনুফা (৬০), বাটোয়ারাপাড়ার মো. কিতাব আলী (৭০), হাসান আলী (৬০), গোয়ালাপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের বিধবা স্ত্রী হাসনা (৬০) এবং অলকা রাণী সরকারসহ (৪৮) সবাই দলিলপত্রসহ একটি আধাপাকা সুদৃশ্য ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত। তারা এতদিন অন্যের বাড়িতে অপমানের অবহেলার দিন যাপন করতেন। এখন নিজের বাড়িতে আত্মসম্মান নিয়ে বাস করতে পারবেন বলে এর আনন্দ যেন পরিমাপ করারও যোগ্য নয়। কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৩২টি, করিমগঞ্জে ১৫টি, নিকলীতে ৫২টি, পাকুন্দিয়ায় ১৮টি, অষ্টগ্রামে ৩০টি, হোসেনপুরে ১০টি, কুলিয়ারচরে ৫২টি, ভৈরবে ৫০টি, বাজিতপুরে ৪৮টি, কটিয়াদীতে ১৩টি, তাড়াইলে ২৭টি, মিঠামইনে ৮৮টি, আর ইটনায় ৫১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *