কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া গরুর হাট পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)। শহরের পূর্ব প্রান্তে রেললাইন অতিক্রম করে আধা কিলোমিটার গেলেই ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগা। এর লাগোয়া পশ্চিম পাশেই জেলার বৃহত্তম শোলাকিয়া গরুর হাট। নথিপত্রে এর নাম ইচ্ছাগঞ্জ হাট থাকলেও এই নামে অধিকাংশ মানুষই চেনেও না, ডাকেও না। ফলে এর নাম সর্বত্রই শোলাকিয়া গরুর হাট। বছরের অন্যান্য সময় এই হাট জমে সপ্তাহে কেবল শুক্রবার। কিন্তু কোরবানির ঈদের আগের সপ্তাহে এখানে একাধিক হাট বসে। তখন কেবল নির্ধারিত পরিধির ভেতরেই হাট সীমিত থাকে না। হাটের সীমা অতিক্রম করে এর বিস্তৃতি ঘটে আশপাশের রাস্তা, রেললাইন, পশ্চিম পাশে আজিম উদ্দিন হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু করে পূর্ব প্রান্তে গাছবাজার পর্যন্ত। এসময় জেলার দূরদুরান্ত, এমনকি পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সড়কপথে এবং হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও নৌপথে এই হাটে গরু আসে।
এবার করোনা মহামারি চলছে। কিন্তু ক্রেতাদের অধিকাংশই মাস্ক পরে হাটে গেলেও বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখেই মাস্ক দেখা যায় না। জেলা প্রশাসন আইন শৃংখলা বাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন এবং এনজিও প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) তার সহকর্মী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও সদর মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে শোলাকিয়া গরুর হাট পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাদেরকে দেখে অনেকেই মাস্ক পরেছেন। আবার পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে হাটে মাস্ক বিতরণও করা হয়েছে। পুলিশ সুপার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবারের পশুর দাম সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়েও খোঁজ নিয়েছেন। এ ধরনের হাটে জাল টাকার কারবারিসহ অনেক ধরনের অপরাধীর আনাগোনা হয়। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্যও তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন।