কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবটি গত ৯ জুলাই শুক্রবার থেকে অকেজো রয়েছে। চালু হতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান। জেলায় করোনা রোগি শনাক্তে তাই হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নমুনা পাঠানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন এখানে ১৮৮টি নমুনার পরীক্ষা হতো। এর পাশাপাশি জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল, বক্ষব্যধি হাসপাতালসহ উপজেলা কমপ্লেক্সগুলোতে সংগৃহীত নমুনার র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়। প্রতিদিন জেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ নমুনার পরীক্ষা করানো হতো। কিন্তু সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকায় এখানকার জমে থাকা নমুনাগুলো থেকে কিছু কিছু নমুনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। সোমবার সেখানে ১৭৬টি নমুনার পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাতে ৪৬ জন নতুন রোগি শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবারও (১৩ জুলাই) সেখানে ২০০ নমুনা পাঠানো হয়েছে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এটি গাজী গোলাম দস্তগীর এমপির প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হলেও এর ল্যাবটি স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নিয়ন্ত্রণে। তবে ওই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ নমুনা পরীক্ষার ব্যাপারে বেশ সহায়তা করছেন। এদিকে সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবটি সারানো হয়েছে। তবে ল্যাবটি জীবানুমুক্ত করা এবং পরবর্তীতে এখানকার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ঢাকায় ক্রসচেক করে ল্যাবটি চালু করতে আরও কয়েকদিন লেগে যেতে পারে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।