কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। আজ কিশোরগঞ্জ সদর ও কুলিয়ারচর পৌরসভার নির্বাচন ছিল। সদর পৌরসভার ২৮টি কেন্দ্র্রের অধিকাংশই ছিল ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর। কিন্তু ওয়ালি নেওয়াজ খান কলেজের দু’টি কেন্দ্রের মধ্যে পূর্ব তিনতলা ভবন কেন্দ্রে পশ্চিম তারাপাশা এলাকার ভোটারদের ভোট গ্রহণের এক পর্যায়ে বেলা ১২টর দিকে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু কর্মি ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিএনপি কর্মিদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এ কেন্দ্রে ভোট ছিল এক হাজার ৮৫২টি। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের এক পর্যায়ে আনুমানিক ৫০-৬০ জন যুবক কেন্দ্রে ঢুকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের কিলঘুষি দিয়ে কাস্টিং হওয়া বেশ কিছু ব্যালট পেপারের মুড়িসহ কিছু ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যান। এরপর তিনি ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলমকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। এদিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের আনুমানিক ৬শ’ থেকে ৭শ’ ব্যবহৃত ব্যালট পেপারের মুড়ি এবং অব্যবহৃত ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে। এরপর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে লিখিতভাবে তাকে জানালে তিনি এই চিঠি নির্বাচন কমিশনেও পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে পৌর এলাকার বাকি ২৭টি কেন্দ্রের গৃহীত ভোট যথা নিয়মে গণনার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।