ভৈরব পৌর শহরের রেলওয়ে কলোনি ও হরিজন পল্লীতে অভিযান চালিয়ে মদ সেবন ও মদ তৈরির অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছ র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার লিটার চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। ২৯ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল এ অভিযান চালিয়ে ভৈরব পৌর শহরের কাঠ বাজার এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. রুস্তম (৫৫), ভৈরবপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার কেরামত আলীর ছেলে মো. মাইনু মিয়া (৪২), মো. খুরশেদ আলমের ছেলে মো. শাহ আলম (৬০), আবুল বাসারের ছেলে মো. সোহেল (৩২), মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৭), মো. বিল্লাল মিয়ার ছেলে মো. শরিফ মিয়া (৬৫), মো. ওয়ালেছ মিয়ার ছেলে মো. বাদল মিয়া (৩০), চণ্ডিবের এলাকার বিশ্বজিৎ এর ছেলে রাজীব বয়ান (২৫), লক্ষ্মীপুর এলাকার মৃত মোনতাজ মিয়ার ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৫২), কামাল হোসেনের ছেলে মো. মাসুম সিকদার (৩০), উপজেলার শম্ভুপুর রেলগেইট এলাকার পা-পুছার ছেলে মো. আলামিন (৪০), মৃত কাছম আলীর ছেলে মো. হযরত আলী (৫০), কুলিয়ারচরের ছয়সূতী এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল (৩৫), খড়ক পাড়া এলাকার আবতাব উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মো. নুর চাঁন (৫৫), কুলিয়ারচরের হাজী আরিছ মিয়ার ছেলে মো. জামান মিয়া (৪১), আমান পাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. বিল্লাল মিয়া (৩০), অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর এলাকার মো. মুরতুছ আলীর ছেলে মো. মইনদ্দিন (৩২) কে আটক করে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে রেলওয়ে কলোনি এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত চোলাই মদ তৈরি ও ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে ২৯ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় পৌর শহরের রেলওয়ে কলোনি ও হরিজন পল্লীতে অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র হিমাদ্রী খীসার ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে আটককৃতরা তাদের নিজেদের অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা পাঁচ হাজার লিটার চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।