# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলায় পরাজিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুন আল মাসুদ খান প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ছোট ভাই শফিকুল আলমকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তিনি বিজয়ী প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন ও তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপি, এজেন্ট বের করে দেওয়া এবং হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি আওলাদ হোসেনকে বিজয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আগামী ৫ বছর যেন সাফল্যের সাথে জনসেবা করতে পারেন, সেই কামনাও করেছেন। তাঁর ছোটভাই ভোটের দিন বেলা আড়াইটার দিকে বৌলাই এলাকায় একটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে শহরের গাইটাল এলাকার বাসায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেছেন।
তবে নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব অন্যায়ের বিচার দাবি করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবেন না। কারণ তাঁর অভিজ্ঞতায় কখনও পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে এসব অভিযোগের নিষ্পত্তি হতে দেখেননি বলে জানিয়েছেন। আওলাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন আল মাসুদ খান কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৪ ভোট।
মামুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটের দিন তিনি আওলাদ হোসেনের এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাপক জাল ভোট প্রদান ও তাঁর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে দেখেছেন। এসময় তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করলে তাঁকে আওলাদের লোকজন অপমান করেন। দুপুরের পর তাঁর ছোট ভাই শফিকুল আলম গেলে তাঁর ওপর আওলাদের কর্মীরা হামলা চালিয়ে আহত করে। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এভাবেই তাঁর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে মামুন দাবি করেন।
মামুন বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে জাল ভোট ও এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি এসবের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী টিটুর ছোট বোনের স্বামী। ফলে নির্বাচনে মন্ত্রীর প্রভাব ব্যবহার করেছেন। আবার মামুন গত সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির পক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু মশিউর রহমান হুমায়ুন ও তাঁর লোকজন ঈগল প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন বলে উপজেলা নির্বাচনে হুমায়ুনের অনুসারীরা মামুন আল মাসুদকে ফেল করানোর জন্য ব্যাপক কারচুপি করেছেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, মামুন দলের কোন পদে নেই। আওলাদ হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর জন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়ে কাজ করেছে বলেই আওলাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। মামুনের ছোটভাই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট লুট করতে চেয়েছিলেন। একজন প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে ঘুষি মেরেছেন। এসব কারণে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বলে টিটু মন্তব্য করেন। এখন পরাজিত হয়ে মন্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে দোষারোপ করছেন। যা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যাচার বলে আশফাকুল ইসলাম টিটু মন্তব্য করেছেন। এমপি জাকিয়া নূর লিপির ইন্দনে মামুন সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন বলে টিটু পাল্টা অভিযোগ করেছেন। মশিউর রহমান হুমায়ুনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।