# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রবাসে গত ২৪ এপ্রিল সকালে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ওপর চতুর্থ বর্ষের ছাত্রদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বিচার দাবি করে আক্রান্ত ছাত্র ফয়সাল আহমেদ ইকরাম কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বিচার দাবি করেছিলেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটিকে প্রথমে ৮ দিনের সময় দিলেও আরও চারদিন বাড়িয়ে আগামী ৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আশুতোষ সাহা রায় ৪ মে শনিবার দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্য ও প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিল সকাল ৬টায় অধ্যক্ষ ডা. মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের ৩০১ নম্বর কক্ষে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ ইকরামের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সময়কার ছাত্রাবাসের করিডোরের কিছু সিসি টিভি ফুটেজও পাওয়া গেছে। তবে ইকরাম তেমন গুরুতর আহত হননি। সিসি ফুটেজে কারও হাতে কোন লাঠিসোটা বা অস্ত্রও দেখা যায়নি। তারপরও ইকরাম আহত হওয়ায় তাকে সৈয়দ নজরুল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে রেখে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল কেনানকে চেয়ারম্যান ও ছাত্রাবাসের সুপার ডা. আবুল বাশারকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনায় অনেকের নাম এসেছে এবং সিসি ফুটেজেও অনেকের ছবি দেখা গেছে, ফলে প্রত্যেককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে কিছুটা সময় লাগছে। আগামী ৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুযায়ী সঠিক ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। তদন্ত কাজে বাইরের কোন চাপ নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই কলেজে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ফলে এই একটি ঘটনার তদন্ত দিয়েই আগামী দিনে সবাই সতর্ক হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আক্রান্ত ইকরাম এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, কলেজ ক্যাম্পাসে গাছের চারা রোপন করতে গিয়ে তিনি সিনিয়রদের নির্দেশ পালনে কিছুটা বিলম্ব করেছিলেন। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। হামলার জন্য তিনি ছাত্রলীগকে দায়ী করেছিলেন। তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন, মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. জহিরুল হক, তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান, তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ডা. আবুল বাশার ও অ্যানেশথেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এমএ ওয়াহাব বাদল।