• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৫ গরমে গরিবের এসি যেন মাটির ঘর ভৈরবের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও শিশু সংগঠক শরীফ উদ্দিন আহমেদ জিল্লুর রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকারী মিজানের জবানবন্দী পেনশন স্কিমে ধীর গতি হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন বাজিতপুরে কৃষিবিদ ইসরাফিল জাহান এর বিদায় সংবর্ধনা যে সমস্ত কাজ করলে আল্লাহর গযব বা অভিশাপ নেমে আসে (৪র্থ পর্ব) ; সংকলনে : ডা. এ.বি সিদ্দিক বৈশাখের নতুন ধানে ভরপুর ভৈরবের মোকাম ক্রেতা কম থাকায় দুশ্চিতায় বিক্রেতারা ভৈরবে নৌ পুলিশের অভিযানের পরেও চলছে নদী থেকে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে সেতু ও ফসলি জমি কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস

বিএনপির অনেকেরই ইচ্ছা উপজেলা নির্বাচন করার

বিএনপির অনেকেরই ইচ্ছা
উপজেলা নির্বাচন করার

# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে কোন মনোনয়ন দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণার পর থেকেই কিশোরগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধডজন নেতা প্রার্থী হওয়ার জানান দিতে শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতারা যদিও দলের সিদ্ধান্তের কথা বলছেন, কিন্তু তাঁরাও এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন মনোভাবই জানা গেছে।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে মনে করছেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক না দিলে নেতারা দলগতভাবে নির্দিষ্ট কারও পক্ষে প্রচারণায় নামতে পারবেন না। তখন একাধিক প্রার্থী থাকলে নিজেদের দলীয় ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে বিএনপির একজন ভাল প্রার্থী থাকলে অনায়াসেই জয়ী হওয়া সম্ভব বলে তারা মনে করছেন।
করিমগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফ হোসেন পাভেল জানিয়েছেন, দলগতভাবে বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করে, সেই ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয় বাদ দিয়েও বিএনপি থেকে পাভেল চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ালে জয়ী হতে পারবেন বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, করিমগঞ্জে বিএনপি শক্তিশালী দল। বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম সুমন গত মেয়াদের আগে এখানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে নৌকার বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও বিএনপি থেকে অনেকেই প্রার্থী হবার কথা চিন্তা করছেন বলে পাভেল জানিয়েছেন।
কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান দীলিপ জানিয়েছেন, তিনি কটিয়াদী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তবে এখন এমপি ছাড়া অন্য কোন পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা নেই। তাঁদের দলের কর্মী নিউজিল্যান্ড প্রবাসী নজরুল ইসলাম প্রার্থী হবার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে দীলিপ খান জানিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রায় অর্ধডজন প্রার্থী হতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থী অনায়াসে জয়ী হতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা সারা জীবন রাজনীতি করবো, আর নির্বাচন করবো না, তা তো হতে পারে না। আওয়ামী লীগের অনেকের চেয়ে আমাদের দলে যোগ্য প্রার্থী আছেন। তবে দল নির্বাচনের সিন্ধান্ত না নিলে নির্বাচন করবো না। দল সিদ্ধান্ত নিলে আমিও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মাত্রই জাতীয় নির্বাচন গেছে। দল অংশ নেয়নি। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলেই মনে হয়। সেক্ষেত্রে কেউ প্রার্থী হলে দলের নেতাকর্মীদের পাশে পাবেন না। তার পরও দলের পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় কি না, সেটা এখনই বলা কঠিন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *