ভৈরবে ইটের গুঁড়া, ব্রয়লার মুরগির ফিড ও ক্ষতিকারক রং মিশিয়ে মসলা তৈরির অভিযোগ চার কারখানা সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম। অভিযানে সহযোগিতা করেন ভৈরব শহর ফাঁড়ি পুলিশ। আদালত সূত্র জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযানে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় হলুদের গুঁড়ার মধ্যে নিম্নমানের চাল ও মুরগির ফিড, মরিচের সঙ্গে ক্ষতিকারক রঙ ও ইটের গুঁড়া মিশিয়ে ভেজাল মসলা তৈরি করা হয়। এসময় চারটি কারখানা থেকে দুই হাজার কেজি হলুদের গুঁড়া, ৫শ কেজি মরিচের গুঁড়া ও ২০ বস্তা পঁচা মরিচ জব্দ করা হয়। পরে ওই চারটি কারখানা সিলগালা করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, ভৈরব বাজার হলুদ পট্টিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে শ্রমিকগুলোও বলতে চায়না কারখানার মালিক কে। আর কতিপয় গুদামতো মুহুর্তের মধ্যে বেনামী হয়ে যায়। নানা নাটকীয়তার পরে খুঁজে পাওয়া যায় একটি গুপ্ত মিলের যেখানে রয়েছে ভেজাল মিশ্রিত প্রায় ৫শ কেজি হলুদের গুঁড়ো, ৫শ কেজি মরিচের গুঁড়ো এবং প্রায় ২০ বস্তা ভর্তি পঁচা মরিচ। হলুদের মধ্যে নিম্নমানের চাল, চালের কুড়া, মুরগির ফিড , মরিচের সাথে রঙ ও ইটের গুড়ো মিশিয়ে গুড়ো করা হচ্ছে। ভেজাল পণ্যগুলো বিনষ্ট করে মালিকবিহীন মিলটি সিলগালা করা হয়। পরে জানা যায় মিলটির মালিক আব্দুল হক মিয়া। অপর একটি গুদামের মালিক বাদল মোল্লা। যার মধ্যে ছিল প্রায় ১৫শ কেজি ভেজাল হলুদ। এসময় বাদল মোল্লার মালিকানাধীন মসলার মিলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং ভেজাল হলুদ বিনষ্ট করে মালিককে সতর্ক করা হয়। এছাড়া ভেজাল পণ্য পাওয়ায় আরও ৪টি গুদাম ঘর সিলগালা করা হয়। তিনি আরোও জানান জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।