ভৈরবে ডাকাত আতঙ্কে রাত জেগে কোরবানীর গরু দলবেঁধে পাহারায় গ্রামবাসী। ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, মৌটুপী, মেন্দিপুর গ্রামে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহতালাকে সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানী দেয়ার জন্য পাঁচটি গ্রামে কয়েক শতাধিক কোরবানীর পশু ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু বর্ষাকাল হওয়ায় সেসব এলাকার চারদিকে পানি থাকায় ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম দলবেঁধে পাহারায় গ্রামবাসী।
৭ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায় রাত দুইটার দিকে কালী নদীতে নৌকাযোগে একদল ডাকাত হানা দিয়েছে। তবে গ্রামবাসী সজাগ হয়ে যাওয়ায় জড়ো হয়ে ডাকাতদলকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসী তাদের কোরবানীর পশু রক্ষায় লাঠিসোটা নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সজল মিয়া বলেন, বর্ষার সময় আসলেই নদীর পাড় ঘেঁষা গ্রামগুলিতে ডাকাত আতঙ্কে দিন পার করতে হয়। এছাড়া এই বছর বর্ষার সময়ে কোরবানীর ঈদ হওয়ায় গ্রামের প্রতিটা মানুষ আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য পশু কোরবানীর দেয়ার জন্য গরু কিনেছেন। তবে সেসব গরু নিয়ে নির্ঘুম রাত পার করছেন বলে তিনি জানান।
আরেক বাসিন্দা আতিক আহমেদ বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে ৫/৬ জনের একটি দল পাশ্ববর্তী গ্রাম মানিকদী হতে রসুলপুরের দিকে আসছিলো। ঠিক সে সময়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ধাওয়া করলে সেসময়ে তারা দ্রুত গতিতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে প্রতি রাতেই দলবেঁধে কোরবানীর গরু পাহারা দেয় তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, সকালে এলাকাবাসীদের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে গ্রামবাসী খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছে। নিজেরদের কোরবানীর গরু নিরাপত্তায় দলবেঁধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বলে তিনি জানান।