ভৈরবে মেঘনা নদী ভাঙ্গনের সময় খাঁজা রাইছ মিলের নিখোঁজ দুই শ্রমিকের একজনের মরদেহ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় একটি ডুবুরি দলের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপর নিখোঁজ শ্রমিকের উদ্ধারে অভিযান এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ ২১ জুন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ভৈরব পৌর শহরের নদীর তীরবর্তী ঘটনাস্থল থেকে শরিফ নামের রাইছ মিলের শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার সকাল আটটার দিকে মেঘনা নদী ভাঙ্গন শুরু হলে ঘুমন্ত শরীফ ও মোস্তাক দুইজন শ্রমিক নদীতে তলিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নদীতে উদ্ধারের জন্য খোঁজাখুজি করছিলো। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল ৩৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও নিখোঁজদের খোঁজ দিতে পারেনি। পরর্বতীতে ধানের বয়লার শ্রমিকদের সরদার নুরুল আমিন নরসিংদীর গৌরিপুর এলাকার মোতালিব মিয়ার ডুবুরি দলের সাথে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিখোঁজ দুজন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করবে এমন চুক্তি করেন। এরপরই আজ মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার কাজ শুরু করলে দুপুরে দিকে দুজনের মধ্য একজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। তবে অপরজনের খোঁজে উদ্ধার কাজ করছেন।
স্থানীয় বয়লার শ্রমিক সরদার নুরুল আমিন জানান, ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুজন শ্রমিকের সন্ধান দিতে পারেনি। পরে গৌরিপুরে মোতালিব মিয়ার ডুবুরি দলকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে দিবে এমন চুক্তি করেন। পরে তারা উদ্ধার কাজ শুরু করলে দুপুরের দিকে শরীফের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, ফায়ার সার্ভিসের দল দুদিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি তবে স্থানীয় একটি ডুবুরি দল আজ মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ডুবুরি দলের সর্দার মোতালিব মিয়া বলেন, নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধারের জন্য মেঘনায় সকালে আমরা অভিযান চালায়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর দুপুরে দিকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত শরীফের মরদেহটি মাটি চাপা পড়ে ছিলো। অপর শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।