ঈদ উপলক্ষে স্বামী ও শ্বশুর নিয়ে আজ শনিবার (৭ মে) বাবার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাবার কথা ছিল। সে হিসেবে মেয়ের বাবা ফারুক আহমেদ বাজার সদাইও করে ছিলেন। কিন্তু বাবার বাড়ি আর যাওয়া হলো না সোনিয়ার। ঘুম থেকে ওঠেই সকালে বাবা ফারুক আহমেদ খবর পান তাদের বসতঘর থেকে কিছুটা দূরে বাথরুমের সামনে সোনিয়ার মরদেহ পড়ে আছে। এমনি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এছাড়াও এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, জাফরনগর গ্রামের মাধবপুর মহল্লার ফারুক আহমেদ তার বোনের ছেলে ভাগ্নে শাহিনের সঙ্গে ৫ মাস আগে মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ে দেন। শাহিন পার্শ্ববর্তি গ্রাম ভবানীপুর আদুর বাড়ির আবু বকরের ছেলে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। ফলে সোনিয়া বেশ কিছু দিন বাবার বাড়িতেই ছিল। ঈদের কয়েক দিন আগে স্বামীর বাড়িতে এসে ছিল।
নিহত সোনিয়া বাবা ফারুক আহমেদ জানান, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শাহিন বিদেশ যাবার কথা বলে সোনিয়াকে টাকা নিতে চাপ দেয়। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। অবশেষে গেল ৩ মাস আগে শাহিনকে দেড় লাখ টাকাও দেয়া হয়। এরপরও স্বামীর সংসারে সোনিয়া সুখী হয়নি। ফলে বেশ কিছু দিন বাড়িতেই ছিল। গেল কয়েক দিন আগে আত্নীয়-স্বজনরা শেষ বারের মতো সোনিয়াকে স্বামীর বাড়িতে দিতে বলেন। কে? জানতো, এ যাওয়াই সোনিয়ার শেষ যাওয়া। সোনিয়া আর বাবার বাড়িতে ফিরে আসবে না।
নিহতের বাবা ফারুক আহমেদের অভিযোগ, পরিকল্পিভাবে সোনিয়ার স্বামী শাহিন তার মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার তিনি দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পিএম রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতদের স্বামী শাহিন ও শ্বশুর আবু বকরকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।