ভারি হোক আর হালকা হোক, সকল ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বা মোটরযানেরই ফিটনেস পরীক্ষা, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এগুলি ছাড়া রাস্তায় কেউ এসব যানবাহন চালাতে গেলে মারাত্মক দুর্ঘটনা কেবল ঘটবে না, চালকরা দণ্ডিত হবেন। যানবাহন ও চালকদের এসব যোগ্যতা অর্জন করতে হলে লাইসেন্স পেতে হলে একটি নিবিড় প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই সেই যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। আর ফিটনেস পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে যানবাহনগুলো চালিয়ে দেখতে হয়। আর সর্পিল কায়দাসহ নানা কায়দায় চালকদেরও দক্ষতার সঙ্গে গাড়ি চালিয়ে সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজগুলো করে থাকে বিআরটিএ। আর এগুলি নিশ্চিত করতে হলে একটি বিশাল জায়গাজুড়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান (বিএমডিটিটিএমসি) প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কিশোরগঞ্জে বিআরটিএ’র নিজস্ব এ ধরনের কোন প্রতিষ্ঠান বা মাঠ নেই। তাদেরকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঠ ব্যবহার করতে হয়। সবসময় মাঠ ফাঁকা পাওয়াটাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। প্রশিক্ষণেরও কোন সুযোগ নেই। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর থেকে গতবছর ২০ মে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে মোটরযানের ফিটনেস পরীক্ষা, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে একটি প্রতিষ্ঠান (বিএমডিটিটিএমসি) স্থাপনের জন্য স্থান বরাদ্দের নিমিত্তে স্মারকমূলে একটি চিঠি দেয়া হয়েছিল। এর জবাবে কিশোরগঞ্জ শহরতলির খিলপাড়া এলাকায় অধিগ্রহণের লক্ষ্যে প্রায় চার একর জায়গা নির্বাচন করে গতবছর ২২ জুলাই জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকমূলে একটি প্রস্তাবসহ চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুলিপি দেয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ বলে অনেকেই মনে করছেন। আর এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলেও সংশ্লিষ্ট সকল মহলই মনে করছেন।