কিশোরগঞ্জে নতুন আরো ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান। এদের মধ্যে রয়েছেন বাজিতপুরে ৮ জন, সদর উপজেলায় ২ জন, করিমগঞ্জে ৩ জন, তাড়াইলে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ২ জন এবং ভৈরবে ১ জন।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৬ মে ১২০টি নমুনা সংগ্রহ করে রাজধানীর মহাখালীর আইপিএইচ ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। এর মধ্যে ২০ মে বুধবার ১১৬টি নমুনার ফলাফল এসেছে, আর পেন্ডিং আছে ৪টি নমুনা। ১১৬টি নমুনার মধ্যে নতুন ১৯টি নমুনা ‘কোভিড-১৯’ পজিটিভ হয়েছে। পুরনো দু’জন রোগীর নমুনা আবারো পজিটিভ এসেছে। বাকি ৯৫টি নমুনা নেগেটিভ হয়েছে। তবে বুধবার ভৈরবের একজন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮৩ জন। মারা গেছেন ৭ জন। বুধবার কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১২২ জন। আর আইসোলেশনে রয়েছেন অন্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা ৬ জনসহ মোট ৭৪ জন।
মাঝে কিছুদিন কিশোরগঞ্জে করোনা সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু এখন হঠাৎ আবার বেড়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, নানা কারণেই সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে। কিছুদিন মানুষ ঘরে থাকার নির্দেশনা মানলেও পরবর্তীতে বাড়ি থেকে প্রচুর মানুষ বেড়িয়ে আসতে থাকে। ১০ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মার্কেটগুলোতে ভিড় করতে থাকে। আবার গণ পরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন জেলা থেকে সবসময়ই ছোট ছোট পরিবহনে প্রচুর মানুষ কিশোরগঞ্জে আসছে। বুধবারও ঢাকা থেকে দু’জন সংক্রমিত রোগী চলে এসেছেন! এরা সৈয়দ নজরুল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে নানা কারণেই সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে সিভিল সার্জন মনে করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সবাই হুমকির মধ্যে থাকবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।