# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কিশোরগঞ্জের হাওরের ২ হাজার ৪৯২টি পরিবার আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ফাও)। এসব পরিবারকে বন্যার পূর্বাভাস পেয়েই নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরসহ নানা চাহিদা মেটাতে বিকাশে পাঠানো হবে নগদ টাক। গবাদি পশু রক্ষায় দেয়া হবে গোখাদ্য। এর জন্য প্রথমে তৈরি করা হবে সহায়তার যোগ্য পরিবারগুলোর ডাটাবেজ। ‘পপি’ নামে একটি বেসরকারী সংস্থার ২৭ জন কর্মিকে ডাটাবেজ তৈরির জন্য দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) জেলা শহরে পপির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ফাও প্রতিনিধি আজিজুন্নাহার তানিয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ ও পপির উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান পপি কর্মিদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এসময় তারা বলেন, হাওর উপজেলা ইটনার বন্যাপ্রবণ মৃগা ও ধনপুর ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৯২টি পরিবারকে আগাম বন্যার সময় আগাম সহায়তা দেয়া হবে। এর আগের আগাম বন্যাগুলোর সময় দেখা গেছে, সময়মত পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয়নি। হাওরের অসহায় মানুষগুলোও বন্যার ভয়াবহ ক্ষতি এড়াতে পারেননি। এর ফলে তারা পরবর্তী বছরগুলোতে ক্ষতির রেশ টানতে টানতে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অথচ হাওরাঞ্চল হচ্ছে দেশের খাদ্যোৎপাদনের প্রধান এলাকা। ফলে হাওরের বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোকে আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।