বাজিতপুর পৌরসভায় বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন ছাড়া কিশোরগঞ্জের তিন পৌরসভা হোসেনপুর, বাজিতপুর ও করিমগঞ্জ পৌরসভায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহাম্মদ আশ্রাফুল আলম।
তবে বাজিতপুরে এজেন্ট বের করে দেওয়া এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে না দেওয়ার কারণ দেখিয়ে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র এহসান কুফিয়া বেলা সোয়া ১১টার দিকেই নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে হোসেনপুর এবং করিমগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রাখে, বর্জন করেনি। বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় এমপি আফজাল হোসেনের ছোটভাই বর্তমান মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাতপাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। বাজিতপুরে ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়। এখানে ভোটার আছেন ২৪ হাজার ৮১২ জন। আর হোসেনপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র আব্দুল কাইয়ুম খোকন, বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন মাহবুবুর রহমান, আর খেজুর গাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েছেন সৈয়দ হোসেন হাছু। এখানে ভোটার আছেন ১৯ হাজার ৫৮ জন। করিমগঞ্জে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন মোসলেহ উদ্দিন, বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বায়েজিদ হোসেন হৃদয়। এখানে ভোটার আছেন ২৪ হাজার ২০৯ জন।
প্রতিটি পৌরসভায় সকাল থেকেই শত শত ভোটারের লম্বা লাইন দেখা গেছে। প্রতিটি পৌরসভাতেই নারী ভোটারের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা গেছে। হোসেনপুরের নতুন বাজার দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে প্রচুর নারী ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। ভোটারের ভীড় সামলাতে যেন সংশ্লিষ্টদের হিমসিম খেতে হয়েছে। এজেন্ট বের করে দেওয়া বা প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ছাড়া কোথাও ভোট গ্রহণে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানিয়েছেন। তবে বাজিতপুরে বিএনপি প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। আর হোসেনপুরে কাইছমা পদুরগাতি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা কেন্দ্রে কিছুটা অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।