• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
ভৈরবে নৌ পুলিশের অভিযানের পরেও চলছে নদী থেকে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে সেতু ও ফসলি জমি কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস তৃষ্ণার্তদের মাঝে অ্যাপেক্স ক্লাবের বোতলজাত পানি ছাত্রলীগ নেতা মুখলেছের মরদেহ লুঙ্গি-ছোরা উদ্ধার ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকারী মিজানের জবানবন্দী ছাত্রলীগ নেতা অপহরণ ও খুন খুনির দেখানো স্থানে লাশ নেই ইউপি চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারের মামলা ভৈরবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় ৩ জন আটক, ড্রেজার জব্দ ভৈরবে নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত বাজিতপুরে সেইফ হেলথ প্রকল্পের নামে ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ, মহা-পরিচালকের ৩ মাসের কারাদণ্ড

ফলোআপ ; আলোচিত সজিব হত্যা মামলার আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ

# মিলাদ হোসেন অপু :-
ভৈরবের আলোচিত ডকইয়ার্ড ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান সজিব (৩৫) হত্যা মামলার আরো একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০ মে শনিবার ভোরে পৌর শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের কান্দা পাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৫)।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মাকছুদুল আলম।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা জানায়, সজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ মে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সোহাগ মিয়া (৩০) নামের এক চিহ্নিত ডাকাতকে। সোহাগ মিয়া ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর ফাঁড়ি রঘুনাথপুরের আবুল মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, ১৩ মে ডকইয়ার্ড ব্যবসায়ী সজিব মিয়া কিশোরগঞ্জের নিকলী থেকে মোটরসাইকেল যোগে ভৈরবের দিকে আসছিল। পথিমধ্যে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নিহত হয়। ১৫ মে সোমবার নিহতের স্ত্রী হামিদা বেগম স্বর্ণা ভৈরব থানায় ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের চৌকস অভিযানে প্রথমে নরসিংদীর বেলাব থেকে সোহাগ মিয়াকে আটক করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সোহাগসহ আরো ৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কালিকাপ্রসাদ এলাকায় অবস্থান করছিল। রাস্তায় অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা দেখে নেট জাল দিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা সজিব মিয়ার গতিরোধ করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের জরিত প্রধান আসামি সোহাগ মিয়াকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যমতেই সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা সোহাগ মিয়া স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু আলামত জব্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোহাগের বিষয়ে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এখনো শুনানি শুরু হয়নি। সোহাগকে রিমান্ডে পেলে আশিকুর হত্যার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এখন সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *