# রাজীবুল হাসান :-
ভৈরবে বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকাকে রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ইতালি প্রবাসী অভিযুক্ত রাহাত মিয়ার (২৯) বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের। সে পৌর শহরের কমলপুর এলাকার মৃত কাসেম মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ইতালি প্রবাসী ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে দেশে এসে নারায়নগঞ্জের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৪ মার্চ শুক্রবার রাতে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, অভিযুক্ত ইতালি প্রবাসী রাহাতের মা রাবেয়া বশরী (৫০), মামা হানিফ মিয়া (৪৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার কচুয়া গ্রামের এক তরুণীর তাসনিম সুবাহ (বর্তমানে নারায়নগঞ্জের সিদ্দীরগঞ্জ আদমজীনগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ভাড়াটিয়া) সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর এলাকার কমলপুরের বাসিন্দা রাহাত মিয়ার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের দুজনেরে মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাহাত ইতালি থাকাকালীন সময়ে তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। রাহাত গত ১৩ মার্চ দেশে আসেন। ১৪ মার্চ সে নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে বাসায় যায়। ১৬ মার্চ তরুণীকে রাহাত বিয়ে করবে বলে তার মামা হানিফ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে ওইদিন বিকালে তরুণীকে নিয়ে ভৈরবের একটি রিসোর্টে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে যায়। আগে থেকেই রিসোর্টের তিন তলার ৩০৪নং রুম ভাড়া করা ছিল। সেই রুমে নিয়ে প্রেমিকাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর রাহাত তরুণীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তরুণী বাড়ি গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে ২৪ মার্চ ভৈরব থানায় প্রেমিকা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় রাহাতসহ তার মা ও মামাকে আসামি করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার এস আই শহিদ জানান, বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে ধরাসহ ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।