জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২২ কিশোরগঞ্জ জেলা পর্যায়ে বাছাই উপলক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারজানা খানম (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাচাই করেন ও মৌখিক পরীক্ষা নেন, পরবর্তীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন। ২০১৯ সাল থেকে পুরুষ ও মহিলা উভয় থেকে এককভাবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এর আগে ভৈরব উপজেলায় ২০১৮ সালে পুরুষ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
মহামারি করোনা ভাইরাস এর কারণে বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকা স্বত্বেও আবদুর রশিদ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উন্নয়নের লক্ষে এবং করোনাকালীন শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশুনায় পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় ও অর্থ ব্যয় করে নিরলসভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনলাইনে লাইভ ক্লাস নিয়েছেন। এর ফলে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা স্বত্বেও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে তাদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারছে। করোনার সময়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ফেসবুক পেইজ থেকে তিনি নিয়মিত লাইভ ক্লাস নিয়েছেন। তিনি নিজ অর্থায়নে লাইভ ক্লাসের জন্য স্টুডিও তৈরি করে ভৈরব উপজেলার শিক্ষকদের লাইভ ক্লাস নিতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি ভৈরবের বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি কমলপুর হাজী জনাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০১৮ সালে শিক্ষক বাতায়নের সেরা কন্টেন্ট নির্মাতার কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলা অ্যাম্বাসেডর ও ভৈরব উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় আইসিটি কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে আবদুর রশিদ বলেন, পিতা-মাতার পর একজন শিক্ষকই হলেন শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় অভিভাবক। শিশুদেরকে মানবিক দিক থেকে শুরু করে জীবন গঠনের সকল বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন একজন প্রাথমিক শিক্ষক।
মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ঢাকা কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন এবং ২০১০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে অদ্যাবধি দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করান ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থাপনা, বিচারকের দায়িত্ব পালনসহ সামাজিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণে তার বেশ সুনাম রয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জেলা পর্যায়ে প্রাথমিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ তার সহকর্মীবৃন্দ তাকে অভিনন্দন জানান।